
গাজীপুরে ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, সবুজ পল্লবে স্মৃতি অম্নান’ শীর্ষক শহীদদের স্মরণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
রোববার বিকালে এ উপলক্ষে নরুন উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. মাহবুবুর রহমান।
সদস্য সচিব ফকির ইস্কান্দার আলম জানুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক সাংসদ ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক একে এম ফজলুল হক মিলন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, সদস্য ওমর ফারুক শাফিন।
প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ড. ব্যারিস্টার চৌধুরী ইশরাক আহম্মেদ সিদ্দিকী।
আরও বক্তব্য রাখেন- মহানগর বিএনপি নেতা আকম মোফাজ্জল হোসেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির মাস্টার, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক খাইরুল আলম মিন্টু, জেটেব এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এবিএম রুহুল আমিন আকন্দ, শাহ আলম প্রধান, নেছার আহমেদ নুহু, নজরুল ইসলাম মাস্টার, হোসেন ভূঁইয়া, নজরুল ইসলাম বাদল মুন্সিসহ জেলার কৃষক দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
সভায় প্রধান অতিথি বলেন, যারা এ দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন, দিবালোকে গুলি খেয়ে শহীদ হয়েছেন, আমরা তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সমবেদনা জানাচ্ছি। তাদের স্মরণে এবং দেশের মাটিকে সবুজ রাখার প্রতীকী উদ্যোগ হিসেবে এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।
তিনি বলেন, দেশের বীর শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। আমরা সেই শহীদদের ঋণ শোধ করতে না পারলেও তাদের স্মরণে দেশের মানুষের জন্য নিরলসভাবে কাজ করব। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা দেশের সংকটে রাজপথে থাকব এবং জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনব।
প্রধান অতিথি বলেন, কৃষক দল সবসময় কৃষকের অধিকার আদায়ে সংগ্রামে ছিল, আছে এবং থাকবে। আমাদের সংগঠনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে কৃষকের কণ্ঠস্বরকে রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসা।
তিনি বলেন, ১৭ বছর ধরে মানুষের ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করেছিল আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার। তারা খুন-গুম, মিথ্যা মামলা ও ফ্যাসিবাদের মাধ্যমে দুঃশাসন কায়েম করেছিল এদেশে। ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধানকে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। শহীদদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অন্যতম পথ হচ্ছে দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা।