
গাজীপুরের কাশিমপুর হাই-সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফাঁসির ৩ আসামি পালানোর চেষ্টা করেছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার রাতে কাশিমপুর হাই-সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আসাদুর রহমান কোনাবাড়ী থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
জেল পালানোর চেষ্টা করা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিরা হলেন- টাঙ্গাইল সদর থানার চৌবাড়িয়া এলাকার শাহাদাত হোসেন, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানার মাঝিনা এলাকার শ্রী রনি মহন্ত ও কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী থানার দিয়াডাঙ্গা এলাকার নজরুল ইসলাম মজনু ওরফে মঞ্জু। তারা সবাই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট রাত সোয়া ৮টার দিকে কাশিমপুর হাই-সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দায়িত্ব পালন করছিলেন সহকারী প্রধানরক্ষী মোখলেছুর রহমান। এ সময় তিনি তমাল ভবনের নিচতলায় ১২নং কক্ষ হতে দেয়ালে আঘাতের শব্দ শুনতে পান। একপর্যায়ে তার দেওয়া তথ্যমতে পরের দিন ৬ আগস্ট সকালে ওই রুমে তল্লাশি করা হয়। পরে সেখান থেকে ১টি লোহার পাত, ২ টুকরা রড, কম্বল কেটে বানানো ২৮ ফুট লম্বা ১টি রশি, কম্বল দিয়ে তৈরি ২৫ ফুট লম্বা ১টি বেল্ট, লোহার তৈরি ২টি আংটা, ১০ ফুট লম্বা ১টি খুঁটিসহ বিভিন্ন উপরকরণ জব্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বন্দিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা কারা কর্তৃপক্ষকে জানায়, জেল হতে পলায়নের জন্য প্রস্তুতির সহায়ক উপরকরণ হিসেবে উদ্ধারকৃত মালামাল তাদের সংগ্রহে রেখেছিল। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তারা জেল হতে পলায়ন করত অথবা পলায়নের সুযোগের অপেক্ষায় ছিল।
কারা সূত্রে জানা গেছে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওই তিন আসামি পালানোর অপেক্ষায় ছিল। গত বছরের ৫ আগস্টের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তারা সুযোগ পেলে কারাগার থেকে পালিয়ে যেত। এছাড়া গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সারা দেশের কারাগারগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
কোনাবাড়ী মেট্রো থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সালাহউদ্দিন বলেন, এজাহার পর্যালোচনায় দেখা যায় যে এটি একটি অন্তর্ঘাতমূলক কাজ এবং একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যকারিতাকে ব্যাহত করার নিমিত্তে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা চেষ্টা ও সহযোগিতা করে; বিধায় বর্ণিত ধারায় অত্র মামলাটি করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।