
গাজীপুরের টঙ্গীতে ট্রাভেল ব্যাগ থেকে অলি মিয়া নামে এক যুবকের মরদেহের আট টুকরা উদ্ধারের পর এবার পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় মিলেছে তার মাথা।
শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে টঙ্গীর বনমালা রোডের একটি বাসার বাথরুমের কার্নিস থেকে পলিথিনে মোড়ানো বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার করা হয়।
বিকেলে র্যাব-১ এর অধিনায়ক কর্নেল আশিকুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ক্লুলেস এই হত্যা মামলার মূল হোতাসহ ২ জনকে প্রথমে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। তবে তাৎক্ষণিক তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বাপ্পি নামে আরও একজনকে আটক করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের পর টঙ্গীর বনমালার একটি বাসা থেকে ভুক্তভোগীর বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার করা হয়।
এর আগে শুক্রবার সকালে টঙ্গীতে সড়কের পাশে ফেলে যাওয়া ট্রাভেল ব্যাগভর্তি আট টুকরো মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহের আঙ্গুলের ছাপ থেকে পরিচয় নিশ্চিত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
এ ঘটনার পর থেকেই আসামিদের গ্রেফতারে মাঠে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সংস্থা।
নিহত অলি নরসিংদী জেলা সদরের করিমপুর গ্রামের শুক্কুর আলী মাস্টারের বাড়ির সুরুজ মিয়ার ছেলে। গাজীপুরের আজমিরি পরিবহনের হেলপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।