জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত হৃদয়ের লাশের সন্ধানে তুরাগ নদীতে অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক
2 Min Read

জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত হৃদয়ের লাশের সন্ধানে একবছর পর গাজীপুরের কড্ডা এলাকায় তুরাগ নদীতে অভিযান শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের উপস্থিতিতে এ অভিযান শুরু করা হয়।

নিহত হৃদয় (২০) টাঙ্গাইলের গোপালপুরের আলমগর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে। তিনি হেমনগর ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়তেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি কোনাবাড়ী এলাকায় অটোরিকশা চালাতেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মাসুদ পারভেজ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে উদ্ধার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক মোহাম্মদ মামুন জানান, ডুবুরি দল উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।

এরআগে তৎকালীন কোনাবাড়ী থানার ওসি কেএম আশফাক হোসেন এবং আকরাম হোসেন নামে শিল্প পুলিশের এক কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং অন্যান্য সাক্ষ্য প্রমাণে জেনেছেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট হৃদয় কোনাবাড়ী কাশিমপুর সড়কে সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি দেখে হৃদয় রাস্তার পাশে অবস্থান নেন। সেখানে দায়িত্ব পালন করছিলেন শিল্প পুলিশের কিছু সদস্য। তারা হৃদয়কে রাস্তার পাশ থেকে ধরে নিয়ে চড়-থাপ্পড় মারেন। একপর্যায়ে পুলিশ গুলি করলে সেখানেই তিনি মারা যান।

ঘটনায় হৃদয়ের ফুফাতো ভাই মো. ইব্রাহীম বাদী হয়ে কোনোবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে হুকুমের আসামি এবং অজ্ঞাত ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়।

Share This Article
Leave a Comment